মেয়েদের নাভিই ছিল তাঁর নেশা, ১২১টি খুনের পর অবশেষে ধরা পড়ল যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক :- নারী শরীর নিয়ে বিভিন্ন সময়ের কবিরা নানাভাবে তাঁদের মত ব্যক্ত করে গেছে। কেউ কেউ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে এদের তুলনা করেছেন আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র শারীরিক বর্ণনা তে মেতে উঠেছে।

   

এই কথাটি একেবারেই স্পষ্ট সমস্ত পুরুষ জাতি তথা সমগ্র পৃথিবী ‘নারী শরীর’এর মোহের রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি বরং ক্রমাগত এতে একটু একটু করে হারিয়েই গিয়েছে। ঠিক এরমই একটি ঘটনার নজির মিললো ইটালির একটি কান্ট্রি সাইডে।

ওই এলাকার নামজাদা স্ট্যানলে পরিবার থেকে মিলেইনি হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ব্যাপারটি নিয়ে জল ঘোলা হতে থাকে। আর এই জল ঘোলার জেড়েই এক ভয়াবহ খুনিকে ধরল পুলিশ। যিনি প্রাথমিক ভাবে মানসিক বিকার গ্রস্থ।

বছর ৩৮ এর ইম্যানো দুবছর আগে একটি দুর্ঘটনায় তার একমাত্র স্ত্রী বেলিনডা ও মেয়ে উইলি কে হারিয়ে ফেলেন, ওই অভিমানের জেরেই তার নারী শরীর এর উপর এক প্রকার ঘৃণা ধরে যায়। তার মতে-”ভগবানের তৈরী এই নারী শরীর এর প্রধাণ কেন্দ্র বিন্দুই হচ্ছে তার নাভি। এই যে সমস্ত মহিলারা তাদের নাভি দেখিয়ে ঘোরেন তাদের নাভি কে হাত দিয়ে টেনে ছিঁড়ে এনে আমার আরও অতলভাবে তলীয়ে গিয়ে রহস্যের সমাধান করতে ইচ্ছে হয়।

 

ঘটনার সূত্রপাত গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকেই। ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ক্রিসমাসের দিন একটি মেয়ের নগ্ন শরীর পড়ে থাকতে দেখা যায়, যার শরীরে পেটের মাঝের অংশ গোল করে একদম পিঠ পর্যন্ত কাটা বাকি শরীরটা একেবারেই অক্ষত। তারপর থেকে ক্রমাগতই চলতে থাকে অবলীলায় এই হত্যামালা। স্থানীয় পুলিশ গতবছর থেকেই নাজেহাল এই প্রতিটি খুনের কেন্দ্রে হল মেয়ে আর তাঁদের নাভি। এছাড়া আর কোনো মোটিভই তারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

১২০ তম খুনের পর ইম্যানোর নজর যায় স্ট্যানলে পরিবারের সবচেয়ে সুন্দর কন্যা মিলেইনি র উপর। তাঁর সুসজ্জিত অঙ্গ, সারা শরীরের সমস্ত রকম ভাঁজ আর প্রধাণ সবচেয়ে সুন্দর তাঁর নাভি এটিই ইম্যানো কে সবচেয়ে বেশি পাগল করে দিয়েছিল।

গতকাল রাত্রে অর্থাৎ ১১ই মার্চ, ইম্যানো মিলেইনির বাড়িতে লোডশেডিং করিয়ে দেয় এবং শুধুমাত্র তাঁদের বাড়িতে লোডশেডিং কেন এই ঘটনা নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকলে এই ফাঁকে সে মিলেইনি কে কিডন্যাপ করে।

সারারাত পাশবিক যন্ত্রণা দেয় তাঁকে। আস্তে আস্তে তাকে পুরো নগ্ন করে ধীরে ধীরে তার নাভিটি ছুড়ি দিয়ে কেটে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় সে। এখানেই একটি ভুল করে বসেন ইম্যানো। এতটাই সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে গেছিলো সে যে মৃত্যুর পরে মিলেইনি কে সে দু-দুবার ধর্ষণ করে।

এরপরেই ভোর হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়ে সে এবং তড়িঘড়ি বডি বাইরে ফেলতে গেলে স্থানীয় লোকেরা ধরে ফেলে তাকে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার তাঁকে কোর্টে তোলা হবে।

সম্পর্কিত খবর