কেন্দ্রের চাকরির পরীক্ষায় বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন, তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপির তরজা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-এর লিখিত পরীক্ষায় ‘পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী সন্ত্রাস’! তাও আবার লিখতে হবে ১০ নম্বর পাওয়ার জন্য। কেন্দ্র সরকাররে চাকরির পরীক্ষার এরকম প্রশ্নপত্র দেখে, প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনাও করেছেন বাংলার শাসক শিবির।

   

ইউপিএসসি পরীক্ষায় মোট ২০০ শব্দে ‘বাংলার নির্বাচনী সন্ত্রাস’ প্রসঙ্গটি লিখতে বলা হয়েছে, যার পূর্ণমান দেওয়া হয়েছে ১০। এমনকি ‘কৃষক আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এমন হেডলাইনও লিখতে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এখানেই শেষ নয়, প্রশ্নপত্রে দিল্লীতে অক্সিজেন সরবরাহের সমস্যা নিয়েও লিখতে বলা হয়েছিল।

কেন্দ্র সরকারের পরীক্ষার প্রশ্নে কেন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উত্থাপিত করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। বাংলার শাসক দল থেকে শুরু করে সিপিএম, এবিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করতে কেউ ছাড়েনি। তবে পাল্টা প্রশ্ন তুলে বিজেপির পক্ষ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, রাজ্যের স্কুল শিক্ষায় সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস পাঠ্যক্রমভুক্ত করা হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলেই। তাহলে এখন শিক্ষার রাজনীতিকরণ করছে কারা?’

কেন্দ্র সরকারের পরীক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক রং থাকায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দিল্লীতে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, একের পর এক প্রতিষ্ঠানকে সংবিধানের বাইরে নিয়ে গেছে। রাজনীতির প্রশ্ন এভাবে করা যায় না। সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থকে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ব্যবহার করার ঘটনা ইতিহাসে নজিরবিহীন’।

কেন্দ্রকে কোণঠাসা করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘এই বিষয়ে রাজনীতিকে টেনে এনে পুরো ব্যবস্থাটাকেই নষ্ট করে দিচ্ছে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়’। তবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগে বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গুরকে বাংলার সিলেবাসে যুক্ত করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনীষীদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটা রাজনীতি নয়? বাংলায় শিক্ষাব্যবস্থা আছে? তৃণমূলই তো শুরু করেছে রাজনীতিকরণ’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর